# bn/7opHWpu2fYcG.xml.gz
# sh/7opHWpu2fYcG.xml.gz


(src)="1"> এখন যদি প্রেসিডেন্ট ওবামা আমাকে গণিতের পরবর্তী জার হবার আমন্ত্রণ জানান , তাহলে তার জন্য আমার একটি পরামর্শ থাকবে যা আমি মনে করি এ দেশের গণিত শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশাল এক উন্নতি ঘটাবে । এবং তার প্রণয়ন হবে সহজ এবং সস্তা । আমাদের গণিতের যে পাঠ্যসূচি আছে তা গড়ে উঠেছে পাটিগণিত এবং বীজগণিতের উপর ভিত্তি করে । এবং এরপর যা কিছু আমরা শিখি তা একটি বিষয়ের দিকে আমাদের নিয়ে যায় । এবং সবার ওপরের এই বিষয়টি হল ক্যালকুলাস । এবং আমি এখানে বলতে চাই যে আমি মনে করি সবার ওপরের এই বিষয়টি সঠিক বিষয় নয় ... আমাদের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য সঠিক বিষয়টি , যা সব হাই স্কুল স্নাতকদের জানার কথা - হওয়া উচিত পরিসংখ্যান : সম্ভাব্যতা এবং পরিসংখ্যান । ( তালি ) আমি বোঝাতে চাচ্ছি , আমাকে ভুল বুঝবেন না । ক্যালকুলাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । মানুষের চিন্তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফসল এই ক্যালকুলাস । পরিবেশের সূত্রসমূহ ক্যালকুলাসের ভাষায় লেখা রয়েছে । এবং প্রতিটি শিক্ষার্থী যে কিনা গণিত , বিজ্ঞান , প্রকৌশল , অর্থনীতি পাঠ করে তাদের প্রত্যেকের অবশ্যই ক্যালকুলাস শেখা উচিত কলেজ জীবনের প্রথম বছরের মধ্যে । কিন্তু আমি এখানে বলতে চাই , গণিতের একজন অধ্যাপক হিসেবে , যে খুব কম মানুষ ক্যালকুলাস ব্যবহার করে একটি সচেতন , অর্থবহ উপায়ে , তাদের দৈনন্দিন জীবনে । অন্যদিকে , পরিসংখ্যান- এমন একটি বিষয় যা আপনার প্রতিদিন ব্যবহার করা উচিত এবং আপনি করতে পারবেন । ঠিক ? এটি একটি ঝুঁকি । এটি একটি পুরস্কার । এটি এলেমেলো । এটা হচ্ছে তথ্য বুঝতে পারা । আমি মনে করি , যদি আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি আমেরিকার সকল নাগরিক -- সম্ভাব্যতা এবং পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানতো , আমরা আজ এই অর্থনৈতিক বিশৃংখলার মধ্যে থাকতাম না । ( হাসি ) ( তালি ) শুধু তাই নয় - ধন্যবাদ - শুধু তাই নয় যদি আমরা তা সঠিকভাবে শেখাতে পারি , তা অনেক মজার হবে । আমি বোঝাতে চাচ্ছি , সম্ভাব্যতা এবং পরিসংখ্যান যা হচ্ছে অনেকটা খেলা আর পাশা খেলার অংক করার মত , মজার । যা হচ্ছে গতিধারা বিশ্লেষণ করা । এটা হচ্ছে ভবিষ্যদ্বানী করা । দেখুন , পৃথিবী বদলে গেছে অ্যানালগ থেকে ডিজিটালে । এবং সময় হয়েছে আমাদের গণিতের পাঠ্যসূচি অ্যানালগ থেকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করবার , ধ্রুপদী , অবিরাম গণিত থেকে আরো আধুনিক , বিচ্ছিন্ন গণিত , এলেমেলো , তথ্যের অনিশ্চয়তার গণিতে পরিণত করা -- যা হচ্ছে সম্ভাব্যতা এবং পরিসংখ্যান । সংক্ষেপে , আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্যালকুলাসের কৌশল শেখার পরিবর্তে আমি মনে করি আরও বেশি অর্থবহ কিছু শিখতো যদি তাদের সবাই জানতো গড় থেকে দুই আদর্শ বিচ্যুতি মানে কি । এবং আমি এটাই বোঝাতে চাচ্ছি । অনেক ধন্যবাদ । ( তালি )
(trg)="1"> Ako bi me kojim slucajem predsednik Obama pozvao da ja budem sledeci Car matematike , ja bih imao predlog za njega za koji mislim da bi u mnogome mogao da poboljsa predavanje matematike u skolama u ovoj zemlji .
(trg)="2"> Koji bi bio lak da se implementira i jeftin .
(trg)="3"> Matematicki program koji trenutno imamo je baziran na osnovama aritmetike i algebre .

# bn/GEEBZSkYkjGv.xml.gz
# sh/GEEBZSkYkjGv.xml.gz


(src)="1"> এই ক্যারিয়ার জটিলতা , আমার বেলায় যা প্রায়ই ঘটে , প্রায়ই , বিশেষত , রোববার সন্ধ্যায় , ঠিক যখন সূর্য অস্ত যেতে শুরু করে , এবং যখন আমার ব্যক্তিগত আকাঙ্খাগুলো আর আমার জীবনের বাস্তবতার মাঝে দুরত্ব , এত কষ্টদায়কভাবে উঠে আসে যে শেষ পর্যন্ত বালিশে মুখ গুঁজে আমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদি । আমি এত সব বলছি , এত সব বলছি এজন্যই যে এটা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত কোন সমস্যা নয় বলেই আমি মনে করি । আপনি হয়ত ভাবতে পারেন আমি ভুল বলছি , কিন্তু আমার মনে হয় আমরা এমন এক সময়ে বসবাস করছি যখন আমাদের জীবন নিয়মিতভাবেই আক্রান্ত হচ্ছে ক্যারিয়ার সংকটে , মূহুর্তেই যখন আমরা আমাদের জীবন ও আমাদের ক্যারিয়ার সম্পর্কে যা জানি বলে ভাবতাম তা এক ভীতিকর বাস্তবতার মুখোমুখি পৌছায় । অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় এখন সম্ভবত সুন্দরভাবে জীবনযাপন করা সহজতর । সম্ভবত বর্তমানেই পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় , ধীর স্থির থাকা, ক্যারিয়ার বিষয়ক দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা সবচেয়ে কঠিন । আমি এখন তাকাতে চাই সেইসব কিছু কারণের দিকে যেগুলোর জন্য আমরা আমাদের ক্যারিয়ার নিয়ে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত । কেন আমরা ক্যারিয়ার সংকটের শিকার হচ্ছি ? কেনই বা আমরা আলতো করে বালিশে মুখ গুঁজে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছি । আমাদের এই কষ্টের একটি কারণ হল আমাদেরকে ঘিরে থাকা অহংকারী লোকজন । এখন আমার কিছু দুঃসংবাদ দেয়ার আছে , বিশেষ করে যারা বাইরে থেকে অক্সফোর্ডে এসেছেন । দম্ভের একটা সত্যিকারের সমস্যা আছে । কারণ মাঝেমাঝে যুক্তরাজ্যের বাইরের মানুষজন কল্পনা করেন -- যে দম্ভ হচ্ছে বিলেতি লোকেদের বৈশিষ্ট্যমূলক ব্যাপার একে তাঁদের দেশের বাড়ি আর উপাধির সাথে সম্পর্কিত করে ফেলেন । দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে সেটা সত্য নয় । উন্নাসিকতা একটি বৈশ্বিক ব্যাপার । আমরা একটি বৈশ্বিক সংস্থা । এটা একটা বৈশ্বিক ব্যাপার । এটা বিদ্যমান । উন্নাসিকতা মানে কী ? উন্নাসিক/ দাম্ভিক হচ্ছে সে , যে আপনার সম্পর্কে খুব অল্প জানে এবং সেই ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে সে আপনার সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা কল্পনা করে নেয় । সেটাই উন্নাসিকতা । একটি বহুল প্রচলিত উন্নাসিকতা যা বর্তমানে বিদ্যমান তা হল পেশাবিষয়ক উন্নাসিকতা । যেকোন পার্টিতে গেলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপনাকে এর মুখোমুখি হতে হয় । আপনি যখন প্রশ্নবিদ্ধ হন একবিংশ শতাব্দীর সেই সুপরিচিত প্রশ্নের , " আপনি কি করেন ? " এবং আপনার উত্তর অনুযায়ী , কেউবা আপনার সাথে দেখা হয়ে অত্যধিক আনন্দিত হন , আর কেউবা নিজের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে কেটে পড়ার অজুহাত দেন । ( হাসি ) এখন উন্নাসিক ব্যক্তির বিপরীতে কাউকে দাঁড় করাতে চাইলে তিনি হবেন আপনার মা । ( হাসি ) আপনার মাকেই যে হতে হবে তা নয় , আমার মাও হতে পারে , কিন্তু , একজন আদর্শ মায়ের মতই , যিনি আমাদের সফলতা নিয়ে মাথা ঘামান না । কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে , অধিকাংশ মানুষই আমাদের মা নন । বেশিরভাগ মানুষ বেশ কঠোরভাবেই সামঞ্জস্য রাখে তার ব্যয়িত সময় এবং ভালোবাসা , -- রোমান্টিক ভালোবাসা নয় , যদিও সেটাও একটা ব্যাপার -- সর্বজনীন ভালোবাসা , সম্মান , তারা আমাদের জন্য যতটুকু করতে ইচ্ছুক , বেশ কঠোরভাবেই তা সীমিত রাখেন আমাদের সামাজিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে । আর আমাদের ক্যারিয়ার নিয়ে এত উদ্বিগ্ন হওয়ার এগুলোই অনেক বড় কারণ এবং অবশ্যই পার্থিব সামগ্রী নিয়ে এত উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠারও একই কারণ । আপনারা প্রয়ই শুনে থাকবেন , যে আমরা অত্যন্ত বস্তুবাদী এক সময় অতিবাহিত করছি , আমরা সবাই অনেক লোভী মানুষ । আমি আমাদেরকে বিশেষ করে বস্তুবাদী বলে মনে করি না । আমার মনে হয় আমরা যে সমাজে বসবাস করছি যে সমাজ খুব সাদামাটাভাবে নির্দিষ্ট কিছু আবেগিক প্রতিদানকে পার্থিব সামগ্রীর অর্জন হিসেবে চিহ্নিত করে । আসলে পার্থিব বস্তু আমরা চাইনা । আমাদের চাওয়া হচ্ছে ঐ পুরষ্কার । আর বিলাসদ্রব্যের কথা ভাবার এটি একটি নতুন উপায় । এখন থেকে কাউকে ফেরারীতে ( দামী গাড়ি ) চড়ে বেড়াতে দেখলে ভাববেন না যে , " ইনি একজন লোভী মানুষ । " বরং ভাবুন , " ইনি হলেন অস্বাভাবিকরকম কমজোর এবং ভালোবাসার কাঙ্গাল । " অন্যভাবে বললে -- ( হাসি ) ঘৃণার বদলে সমবেদনা দেখান । এছাড়াও আরও কারণ আছে -- ( হাসি ) অন্য অনেক কারণ আছে , যে জন্য সম্ভবত আজকাল কঠিনতর হয়ে গেছে আগের যেকোন সময়ের থেকে সুস্থির থাকা । একটি কারণ হচ্ছে ক্যারিয়ার নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা , এটা নিয়ে অবশ্য মতবিরোধ আছে কারণ ক্যারিয়ার নিয়ে আমাদের এই প্রত্যায়াশাকে ভালো নজরে দেখা হয় । মানুষের ইহকালের অর্জন নিয়ে এর আগে এত সুউচ্চ প্রত্যাশা আর কখনই ছিল না । বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা শুনে থাকব যে , যেকারো পক্ষেই যেকোন কিছু অর্জন করা সম্ভব । আমরা সামাজিক শ্রেণীতন্ত্রের যুগ পার করে এসেছি । আমরা এখন যে সিস্টেমে বাস করছি তাতে যে কেউই চাইলে যে কোন উঁচু পর্যায়ে উঠে যেতে পারে । এটা একটা চমৎকার আইডিয়া । পাশাপাশি এটা একটা সাম্যবাদী চেতনা । আমরা সবাই আসলে সমান । শ্রেণীবিভাগের কোন স্পষ্ট প্রকট ব্যবস্থা এখন আর নাই । এর অবশ্য সত্যিকারের একটা বড় সমস্যা আছে , আর সেটা হল ঈর্ষা । ঈর্ষা , পরশ্রীকাতরতার কথা বলা আবার নিষিদ্ধ , কিন্তু আধুনিক সমাজে বহুল প্রচলিত কোন আবেগ যদি থেকে থাকলে সেটা অবশ্যই ঈর্ষা । আর এটা সাম্যবাদী চেতনার সাথে সম্পর্কযুক্ত । আমি বুঝিয়ে বলছি , আমার মনে হয় এখানে উপস্থিত অথবা যারা দেখছেন সবার ক্ষেত্রেই , ইংল্যাণ্ডের রাণীর প্রতি ঈর্ষাণ্বিত হওয়াটা একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার । যদিও আপনাদের যে কারও তুলনায় তিনি অনেক বেশি ধনী । এবং তার একটা বিশাল বাড়ি আছে । আমাদের তার প্রতি ঈর্ষাণ্বিত না হওয়ার কারণ হল তিনি খুবই অন্যরকম । তিনি আসলেই খুব অদ্ভুত । তার সাথে কোন তুলনা চলে না । তিনি হাস্যকরভাবে কথা বলেন । তিনি এসেছেন এক অদ্ভুত জায়গা থেকে । তাই আমরা তার সাথে কোন তুলনা করি না । আর যখন কারও সাথে তুলনা করা যায় না , তাকে ঈর্ষাও করা যায় না । বয়স কিংবা অতীত কিংবা পরিচিতির দিক থেকে দুটো মানুষ যত কাছাকাছি , ঈর্ষার উদ্ভব হওয়ার ভয়ও তত বেশি -- প্রসঙ্গক্রমে একারণেই স্কুল পুনর্মিলনীতে আপনাদের কখনই যাওয়া উচিত নয় । কারণ তুলনা করার জন্য সহপাঠিদের চেয়ে সুবিধাজনক আর কেউ নয় । কিন্তু আধুনিক সমাজের সাধারণ সমস্যা হল , এটা পুরো পৃথিবীটাকেই একটা স্কুল বানিয়ে ফেলেছে । সবাই জিনসের প্যান্ট পরছে , সবাই এক । আবার , তারা সমান নয় । সাম্যের সাথে অসাম্য গভীরভাবে সম্পর্কিত হয়ে আছে । যেটা ভীষণ চাপের সৃষ্টি করে , করতে পারে । সপ্তদশ শতাব্দীতে ফরাসী অভিজাত শ্রেণীর অঙ্গীভূত হতে পারা যেরকম অসম্ভব ছিল , তেমনি বর্তমানে বিল গেটসের মত ধনী হওয়াটাও সম্ভবত একই রকম অসম্ভব । কিন্তু ব্যাপার হল , আমরা এখন সেভাবে অনুভব করি না । আমাদেরকে অনুভব করতে বাধ্য করা হচ্ছে , ম্যাগাজিন , মিডিয়া , বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে , যদি আপনার এনার্জি থাকে , প্রযুক্তিবিষয়ক কিছু বুদ্ধিদীপ্ত আইডিয়া থাকে , একটা গ্যারেজ থাকে , আপনিও বড় কিছু শুরু করে দিতে পারেন । ( হাসি ) আর এর পরিণাম অনুভূত হয় বইয়ের দোকানে গিয়ে । বড় কোন বইয়ের দোকানে গিয়ে স্বাবলম্বিতা বিষয়ক সেকশনের দিকে তাকালে , যেটা আমি প্রায়ই করে থাকি , আজকাল স্বাবলম্বিতা বিষয়ে প্রকাশিত বইগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় , শুধু দুই ধরণের বই আছে , প্রথম ধরণের বইয়ে বলা হয়ে থাকে , " আপনি পারবেন । আপনাকে দিয়েই হবে । সবকিছু সম্ভব । " দ্বিতীয় ধরণের বইয়ে আত্মবিশ্বাসহীনতা কাটিয়ে উঠার উপায় সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে ; সহজভাবে বললে একে ´আত্মস্পৃহার অভাব ' , একটু রূঢ় ভাবে একে বলা যায় " নিজের ব্যাপারে অনেক নিচু ধারণা থাকা " । এই দুই এর মধ্যে সত্যিকারের একটা সম্পর্ক আছে , একটা সমাজ যা তার মানুষকে বলতে থাকে তাদের দিয়ে সব সম্ভব এবং একই সাথে আত্মবিশ্বাসের অভাবের অস্তিত্ত্ব থাকা - এই দুয়ের মাঝে আসলেই সম্পর্ক আছে । তাই এটা আসলে একটা প্রায় পুরোপুরি ঠিক ব্যাপারেও যে বাজে প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে তারই উদাহরণ । সম্ভবত আরেকটি কারণে আমরা আরও বেশি দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হচ্ছি আজকের দুনিয়াতে আগের চেয়ে অনেক বেশি আমাদের ক্যারিয়ার নিয়ে , সামাজিক পদমর্যাদা নিয়ে । এটা আবার বেশ সুন্দর একটা ধারণার সাথে সম্পর্কযুক্ত , সেই সুন্দর ধারণাটা হচ্ছে গুণতন্ত্র । সবাই - বামপন্থী , ডানপন্থী রাজনীতিবিদ সবাই , স্বীকার করবে যে , গুণতন্ত্র হচ্ছে একটা অসাধারণ ব্যাপার । এবং আমাদের সকলেরই আমাদের সমাজকে আরও বেশি বেশি গুণতান্ত্রিক করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করা উচিত । গুণতান্ত্রিক সমাজ বলতে আসলে কি বোঝায় ? গুণতান্ত্রিক সমাজে যেকেউই মেধা , শক্তি আর সামর্থ থাকলে সবচেয়ে উঁচু অবস্থানে পৌঁছতে পারে । কোনকিছুই তাকে বাধা দিতে পারে না । এটা একটা চমৎকার আইডিয়া । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যদি আপনি সত্যিই এমন একটি সমাজে বিশ্বাস করেন যেখানে মেধা থাকলেই উঁচুস্তরে ওঠা যায় , অনেক উঁচুস্তরে ওঠা যায় , আপনি কিন্তু একই সাথে এটাও ইঙ্গিত করছেন , খুব বাজেভাবে বললে , আপনি এমন একটি সমাজে বিশ্বাস করছেন যেখানে কেউ কেউ অযোগ্যতার কারণে নীচুস্তরে থাকতে বাধ্য । একটু ঘুরিয়ে বললে , আপনার জীবনে আপনার অবস্থান আকস্মিক কোন কিছু নয় , বরং আপনার মেধার গুণে অর্জিত এবং যথোচিত । আর এতে করে ব্যর্থতাকে আরও ভীষণ কষ্টকর বলে মনে হয় । আপনি নিশ্চয়ই জানেন , মধ্যযুগে , ইংল্যাণ্ডে , খুব গরীব মানুষকে দেখলে , তাকে বলা হত " দুর্ভাগা " । আক্ষরিক অর্থে , যার ভাগ্য খুব খারাপ , সে এককথায় দুর্ভাগা । বর্তমানে , বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে সমাজের নীচু স্তরের কাউকে দেখলে তাদেরকে সম্ভবত বেশ নির্দয়ভাবেই " লুজার " বলে আখ্যায়িত করা হয় । একজন হতভাগ্য ব্যক্তি আর একজন পরাজিত ব্যক্তির মাঝখানে অনেক ফারাক । আর তা প্রকাশ করে ৪০০ বছরধরে পরিবর্তণশীল সমাজকে আর আমাদের জীবনের পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী সেই বিশ্বাসকে । এখন এটা আর ঈশ্বর নন , বরং আমরাই । আমরাই আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছি । যদি সবকিছু ঠিকঠাকভাবে চলে তাহলে তা খুবই উল্লাসজনক , কিন্তু ব্যাপক বিপদ যখন তার উলটোটা ঘটে । এর প্রতিক্রিয়াস্বরূপ , সমাজবিদ এমিল ডারখাইমের বিশ্লেষণ অনুযায়ী , একেবারে নিকৃষ্ট পর্যায়ে , আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি পায় । বিশ্বের অন্য যেকোন স্থানের তুলনায় উন্নত স্বতন্ত্রবাদী দেশগুলোতে আত্মহত্যার ঘটনা অনেক বেশি । এবং এর কারণ হল , মানুষ তার জীবনে ঘটিত ব্যাপারগুলোকে খুবই ব্যক্তিগতভাবে নেয় । তাদের সাফল্যের পেছনে আছে তারা নিজেরা । তাদের ব্যর্থতার পেছনেও তারা নিজেরাই । আমি এতক্ষণ যেসব মানসিক চাপের কথা বললাম তার থেকে মুক্তির কি কোন উপায় আছে ? মনে হয় আছে । আমি কিছু উপায়ের প্রতি আলোকপাত করতে চাই । গুণতন্ত্রের কথাই ধরা যাক । এই আইডিয়া যাতে বলা হচ্ছে , প্রত্যেকে যে যার অবস্থানে বর্তমানে আছে , সেটাই আসলে তার প্রাপ্য অবস্থান । আমার মনে হয় এটা একটা ফালতু আইডিয়া , পুরোপুরি পাগলামি । আমি বামপন্থী কিংবা ডানপন্থী যে কোন রাজনীতিবিদকেই যেকোন মার্জিত গুণতান্ত্রিক আইডিয়ার ক্ষেত্রে সমর্থন করব । আমি নিজেই গুণতান্ত্রিক , ওই অর্থে । কিন্তু আমি মনে করি প্রকৃত গুণতান্ত্রিক সমাজ তৈরি করা সম্ভব বলে বিশ্বাস করাটা অপ্রকৃতিস্থ । এটা অসম্ভব স্বপ্ন । এমন একটা সমাজের আইডিয়া যেখানে আক্ষরিকভাবে সবাই এমনভাবে বিন্যস্ত যেখানে যোগ্যরা উঁচুতে আর আযোগ্যরা নীচুতে , এবং তা যেভাবে হওয়া উচিৎ সেভাবেই হচ্ছে , এমনটা হওয়া অসম্ভব । এলোমেলো ভাবে অনেক রকমের পরিস্থিতিরই জন্ম হতে পারে । দুর্ঘটনা , জন্ম সংক্রান্ত দুর্ঘটনা , মানুষের জীবনে আসা আকস্মিক দুর্ঘটনা , রোগব্যধি ইত্যাদি । আমরা কখনই সেগুলোকে সমাজে বিন্যস্ত করতে পারব না । ঔচিত্য অনুসারে মানুষকে কখনই বিভাজিত করতে পারব না ।
(trg)="1"> Za mene one se normalno dešavaju , mislim na krize u karijeri , često u nedelju uveče , kad sunce počinje da zalazi , i razlika između nade u budućnost i realnosti , počinje da se povećava tako da obicno završim jecajući u jastuk .
(trg)="2"> Sve ovo spominjem , jer mislim da ovo nije samo moj problem .
(trg)="3"> Vi možda mislite da grešim .